
ডেস্ক রিপোর্ট:
নিজে কিছু করার স্বপ্ন থেকে আজকে একজন সফল উদ্যোক্তা নড়াইলের কৃতি সন্তান মোঃ মিল্টন শেখ।
তার গড়ে তোলা দৈনিক চিত্রা মেইল অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ইউনিক কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠান এবং দিশারী শোলপুর সামাজিক সংগঠন এখন একটি জনপ্রিয় ও ভরসাযোগ্য প্রতিষ্ঠান।
গত ২৮ জুন ‘স্টার বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড-২০২৫’ আয়োজনে সারাদেশ থেকে ১০টি ক্যাটাগরিতে ৩৫ জনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। সেখানে তিনি সেরা উদ্যোক্তা হিসেবে এই সম্মাননা পেয়েছেন। করোনাকালে যখন সবকিছু থেমে গিয়েছিল, ঠিক তখনই অনলাইনে থেমে না থাকার প্রত্যয় নিয়ে যাত্রা শুরু করেন তার প্রতিষ্ঠিত সামাজিক সংশঠন দিশারী শোলপুর কালেকশন। নড়াইল শহর সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়নের শোলপুর গ্রামে জন্ম ও বেড়ে ওঠা মোঃ মিল্টন শেখ ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতেন নিজের কিছু করার। ছেলে বেলা থেকেই তিনি ছিলেন মানুষের উপকারে নিবেদিত প্রাণ। ধীরে ধীরে কাজ শুরু করতে গিয়ে অনুধাবন করলেন কাজ করার প্রবল ইচ্ছাই তার স্বপ্ন পূরণের পথে আনবে জীবনের সার্থকতা। তাই স্বাধীনচেতা মোঃ মিল্টন শেখ নিজেই গড়ে তোলেন ইউনিক কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠান, দৈনিক চিত্রা মেইল অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং দিশারী শোলপুর সামাজিক সংগঠন যা অন্যদের থেকে ব্যতিক্রম। সেই থেকেই কাজের শুরু। নিজেদের পরিচিত মানুষের অনুরোধ রাখতে গিয়ে ভীষণ ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। এভাবেই উদ্যোক্তা জীবনে প্রবেশ মোঃ মিল্টন শেখের। বর্তমানে কাজ করছেন দেশের ঐতিহ্যবাহী এবং মানসম্মত কিছু প্রতিষ্ঠান ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিয়ে। নিজেকে আরও দক্ষ করে গড়ে তুলতে নিয়েছেন বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কর্মকান্ডের উদ্যোগ। তার প্রতিষ্ঠিত দিশারী শোলপুর সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে বৃক্ষ রোপন, বস্ত্র বিতরণ, খাদ্য সহায়তা, স্বাস্থ্য সেবা, বাল্য বিবাহ রোধসহ বিভিন্ন কর্মকান্ড সফল ভাবে করে আসছেন। ইতোমধ্যে আমাদের দেশের অনেক গণমাধ্যমও তার সফলতার গল্প মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ করেছেন। কাজ করতে সব সময় পাশে পেয়েছেন পরিবারের মানুষকে। তাই এ অর্জনকে নিজের পরিশ্রমের প্রাপ্তি হিসেবে দেখেন তিনি। আর এগুলোই নিজেকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সাহস দেয়, বলছিলেন মোঃ মিল্টন শেখ। সফলতা আর নিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই। তবে আমাদের দেশে সুযোগের অভাবে এখনও অনেক উদ্যোক্তা মনোভাবী মানুষ পিছিয়ে আছেন বলে তিনি মনে করেন। দির্ঘ্য পথ চলাই অনেক বাধার স্বীকার হয়েছেন, তবে কখনো হাল ছাড়েননি। নিজের প্রতি ধরে রেখেছিলেন চরম আত্মবিশ্বাস। তিনি মনে করেন, যে কাজের মাধ্যমে নিজের পাশাপাশি অন্যকে ভালো রাখা যায় সেই কাজকে ভালোবাসতে হয়, করতে হয় সম্মান। তাই ভবিষ্যৎ নিয়েও দারুণ পরিকল্পনা আছে তার। এভাবেই এগিয়ে গিয়ে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড় করাতে চান তার প্রতিষ্ঠানকে। তাদের জীবনে পরিবর্তন আনতে চান। তার প্রতিষ্ঠানগুলো সর্বদা মানবকল্যাণে কাজ করে যাবে সেই স্বপ্ন দেখেন তিনি।