
স্টাফ রিপোর্টার: ফ্রিল্যান্সিং ও প্রযুক্তি শিক্ষায় নতুন মাইলফলক স্থাপন করেছেন সফল ফ্রীল্যান্সার মো: আশরাফুল আলম।ফ্রিল্যান্সিং জগতে তিনি নিজ সফলতা অর্জনের পাশাপাশি প্রযুক্তি শিক্ষায় এক নতুন আর অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে চলেছেন।
মোঃ আশরাফুল আলম বর্তমানে তিনি ইশ্বরদী, পাবনায় অবস্থিত পেনআইটি টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (পি.টি.টি.আই) -এর অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আধুনিক আইটি স্কিল শেখানো, ক্যারিয়ার গাইডলাইন প্রদান এবং স্থানীয় তরুণদের আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত করাই তাঁর প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য।
স্কুলজীবনেই তথ্যপ্রযুক্তির প্রতি তাঁর গভীর আগ্রহ জন্মায়। ২০০৮ সালে ইউটিউব ও বিভিন্ন ব্লগ থেকে স্বশিক্ষায় আইটির নানা দক্ষতা অর্জন করতে শুরু করেন তিনি। প্রযুক্তির প্রতি সেই অদম্য কৌতূহলই ভবিষ্যতে তাঁর ক্যারিয়ারকে নতুন পথে নিয়ে যায়।
২০১৪ সালে শিক্ষা অর্জনের লক্ষ্যে গ্রামের বাড়ি থেকে শহরে এসে ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হন। পড়াশোনার পাশাপাশি নিজেকে গড়ে তোলার প্রবল ইচ্ছা তাঁকে যুক্ত করে ফ্রিল্যান্সিংয়ের সাথে। ২০১৭ সালে আপওয়ার্কসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসে প্রোফাইল তৈরি করেন তিনি।
শুরুটা ছিল লিড জেনারেশন ও ওয়েব রিসার্চ দিয়ে। ধারাবাহিক পরিশ্রম, দক্ষতা উন্নয়ন এবং ক্লায়েন্ট সন্তুষ্টির মাধ্যমে দ্রুতই হয়ে ওঠেন একজন সফল ফ্রিল্যান্সার। একই সময়ে লিংকডইনের মাধ্যমে অফ-মার্কেটপ্লেসেও প্রচুর কাজ পাওয়া শুরু হয় তাঁর।
ফ্রিল্যান্সিংয়ের টাকায় নিজের ডিপ্লোমা ও স্নাতক সম্পন্ন করেন আশরাফুল। পরে পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে মনোনিবেশ করেন ওয়েব ডিজাইন ও সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO)-এর মতো চাহিদাসম্পন্ন ক্যাটাগরিতে। নিয়মিত কাজ ও উন্নত মানের সেবার কারণে বর্তমানে তিনি মাসে গড়ে পাঁচ লাখ টাকার বেশি রেমিট্যান্স দেশে পাঠাচ্ছেন।
নিজের উপার্জিত অর্থ দিয়ে ইশ্বরদী শহরে জমি ক্রয়সহ পাঁচতলা বিশিষ্ট বাড়ি নির্মাণ করেছেন তিনি। পাশাপাশি আরও কিছু জমি সংগ্রহ করে পরিবারকে করেছেন আর্থিকভাবে স্বচ্ছল ও নিরাপদ।
দক্ষ যুবসমাজ তৈরির লক্ষ্য নিয়ে নিজস্ব ভবনে প্রতিষ্ঠা করেন পেনআইটি টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (পি.টি.টি.আই)। প্রতিষ্ঠানটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অধীন National Skills Development Authority (NSDA) কর্তৃক অনুমোদিত ।
মোঃ আশরাফুল আলমের মতে দক্ষতা, ধৈর্য, ভালো যোগাযোগ এবং শেখার মানসিকতা এই চারটি বিষয়ই একজন ফ্রিল্যান্সারের সাফল্যের মৌলিক ভিত্তি। তরুণদের জন্য তাঁর বার্তা, দক্ষতা অর্জন করুন, নিয়মিত অনুশীলন করুন সুযোগ নিজে থেকেই চলে আসবে।


